লিখেছেন- শাখা নির্ভানা
গত বিশ বছরে বাঙালির বিবর্তন ঘটেছে যতটা, এল মিলিয়ন বছরে হোমো ইরেক্টাসও বোধকরি অতটা বদলে যেতে পারেনি। এনজয় ইউরসেলফের মর্মকথা সে বুঝে গেছে। তাই তার উপভোগের জন্যে নিজেকে ছাড়া সমাজের আর কাউকে দরকার হয় না। তবে ভোগান্তির সময় বাঙালি মানুষ খোঁজে দুর্ভোগটাকে ভাগাভাগি করে নেবার জন্যে। কিন্তু তখন মানুষ তার ডাকে আসে না। কারণ সুখের সময় যাকে অস্বীকার করেছিলে দুঃখের সময় সে কেন আসবে? তাই ধীরে ধীরে সমাজ থেকে নিজেকে বাঙালি তুলে নিতে থাকে। হয়ে যায় একা। বিপ্লব করারও ইচ্ছা আছে তার। এক জায়গায় বসতে না পারলে বিপ্লব হবে কেমন করে? নিজস্ব উপলোব্ধি থেকে বুঝতে পারি কিছু। কিছু বুঝি অন্যের অভিজ্ঞতা থেকে। ১৯৯৬ সালে মাথার ভিতরে বাঙালির যে সরূপটা গুঁজে নিয়ে বেরিয়েছিলাম, আজ সেখানে গিয়ে সেই বাঙালিকে আর খুজে পাই না। তারা একে অপরকে ঘৃণা করে, ভয় করে, সন্দেহ করে গণহারে। কিন্তু কেন? সেই প্রশ্নের উত্তর খোঁজা জরুরী।
আসুন সবাই মিলে বাঙালির নেতিবাচক বিবর্তন নিয়ে গবেষণা করি। অতঃপর সেই গবেষণালব্ধ ফল তাদের ইতিবাচক পরিবর্তনের কাজে ব্যবহার করি।