লিখেছেন- শেখ খলিল শাখা নির্ভানা
আমাদের সবচেয়ে কাছের গ্রহটির নাম মঙ্গল বা মার্স। হেভিটেবল জোনের ভিতরে না হলে এর খুব কাছাকাছি এর অবস্থান। কয়েক বছর আগেও মঙ্গলে যাওয়া একটা স্বপ্নের ব্যাপার ছিল। এখন সেই অবস্থার অনেক পরিবর্তন হয়েছে। মানুষের কাছে ঐ গ্রহটি সম্পর্কে এত তথ্য এসেছে যে, মঙ্গল যাত্রা এখন আর স্বপ্ন নেই, সময়ের ব্যাপার মাত্র হয়ে গেছে। তাই এলন মাস্কের স্পেস এক্স এত জোর দিয়ে বলতে পারে- আমরা খুব শিঘ্র মঙ্গলে যাবো। স্টিফেন হকিনসের মতে মানুষের নিরাপদ অস্তিত্ব রক্ষার কারণে দেরি না করে তাকে অন্য কোথাও অভিবাসন নিতে হবে, অন্য গ্রহে, অন্য তারকা পরিবারে। অনেক অসম্ভবকে মানুষ সম্ভব করেছে, এটাকেও করবে, এই আশা সবার, আমারও।
মঙ্গল গ্রহের প্রধান সমস্যাগুলো নিন্মরূপঃ
১) তাপমাত্রা শূন্যের এত নীচে যা জীব বেঁচে থাকার উপযোগী নয়।
২) রেডিয়েশনের মাত্রা জীবন ধারনের নিন্মতম সীমার চেয়ে অনেক বেশী
৩) মেগ্নেটিক ফিল্ড খুবই কম
৪) পানির মারাত্মক স্বল্পতা
৫) মারাত্মক ধুলিঝড়
৬) মাটিতে বিষাক্ত পারক্লোরেটের মাত্রা অনেক বেশী
মঙ্গল গ্রহে মূল কাজ হলো গ্রিনহাইজ গ্যাস তৈরী করা। ম্যাগনেটিক শিল্ডিংয়ের মাধ্যমে রেডিয়েশন বা বিকিরণকে ঠেকিয়ে দিতে পারলে গ্রহের তাপমাত্রা বেড়ে যাবে, মেরু অঞ্চলে জমে থাকা কার্বন-ডাই-অক্সাইড গলতে শুরু করবে। বরফ হয়ে জমে থাকা পানি গলে জলাশয় তৈরী করবে। আস্তে আস্তে মঙ্গল তার চৌম্বকক্ষেত্র ফিরে পাবে। পারক্লোরেট থেকে অক্সিজেন বের করে তখন বাতাসে ছাড়লেও তা পালিয়ে যাবে না। এইভাবে মূল সমস্যগুলো দূর করতে পারলে মঙ্গলকে বাসযোগ্য করা অসম্ভব হবে না। এখনও পর্যন্ত মানুষের হাতে এইসব প্রযুক্তি পর্যাপ্ত না আসলেও আগামীতে অবশ্যই এসে যাবে, এই ব্যপারে কারও সন্দেহ থাকার কথা নয়। কারণ আজ যা অসম্ভব কাল তাই সম্ভব করবে মানুষ। তাই মানুষের সক্ষমতা নিয়ে সন্দেহ পোষণ করা এক ধরণের বোকামী।